সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঢাকা থেকে নবজাতকের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামে ফিরছিলেন একই পরিবারের পাঁচজন। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সবাইকে হতে হলো মরদেহ। বাস-কাভার্ডভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্সের ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারান তারা।
একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে নিহতদের ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের বাড়িতে।
দুর্ঘটনার খবর শুনে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে নিহত পাঁচজনের বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মীয়-স্বজনরাও আসছেন ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের শান্তনা দিতে। এ সময় ওই গ্রামের স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠির বাউকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার চাকরিজীবী আরিফুর রহমান ও তার বোন শিউলী বেগম, আরিফের মা কোহিনুর বেগম, ভাই তারেক রহমান এবং তার সম্বন্ধি নজরুল ইসলাম। নিহত অপরজন দুর্ঘটনায় কবলিত অ্যাম্বুলেন্সের চালক কুমিল্লার আলমগীর হোসেন।
নিহতদের পরিবারের লোকজন জানায়, আরিফুর ঢাকায় গার্মেন্টস এ চাকরি করতেন। বিয়ের সাত বছর পরে ঢাকার উত্তরা একটি হাসপাতালে তাদের কন্যাশিশু জন্ম নেয়। অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি মারা গেলে বুধবার তাকে নিয়ে আরিফুর ও তার বোন সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলিসহ স্বজনরা ঝালকাঠি বাড়ির উদ্দেশে একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে রওনা হন।
বুধবার বিকেলে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী গ্রামের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস-অ্যাম্বুলেন্স-কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তারা সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত আরিফুরের ফুপাতো ভাই রাশেদুল হাসান সুমন জানান, নিহত আরিফুরের স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে তিনি ঢাকাতেই রয়েছেন। তবে দুর্ঘটনায় আরিফুরসহ পরিবারের বাকি পাঁচ সদস্য শিশুটির দাফন সম্পন্ন করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
Leave a Reply